এসবিএন ডেস্ক:
আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের অনেক উন্নয়ন কাজ করেছেন। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, এয়ারপোর্ট, সদরঘাট, কমলাপুরসহ নগরির বিভিন্ন জায়গায় সরকারের উন্নয়ন ডিজিটাল স্ক্রিনে দেখানো হবে। এ ক্ষেত্রে সরকারের বড় বড় উন্নয়ন প্রকল্প অগ্রাধিকার পাবে।
মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির(একনেক) সভায় এ সিদ্ধান্ত দেন একনেক চেয়ারপার্সন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
যেসব উন্নয়ন প্রকল্প ডিজিটাল স্ক্রিনে দেখানো হবে, পদ্মাসেতু, হাতিরঝিল রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্ট (রামপাল), রাজধানীর মেট্রোরেল, এলএমজি টার্মিনাল, কক্সবাজারের সোনাদিয়ায় গভীর সমুদ্রবন্দর প্রকল্পসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প।
এ প্রকল্পে ব্যয় হবে, ১৪ কোটি ৮৭ লাখ ৫৮ হাজার কোটি টাকা।
বৈঠক শেষে এ বিষয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের বলেন, আমরা ঢাকার পাঁচটি গুরুত্ত্বপূর্ণ স্থানে প্রাথমিকভাবে ডিজিটাল স্ক্রিন বসাবো পরে ঢাকাতে আরো এডিজিটাল স্ক্রিনে বসানো হবে। এখানে সরকারের নানা উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড প্রচার করবো। এর পরে বিভাগ, জেলা, উপজেলা ও পৌরসভায় পর্যায়ক্রমে ডিজিটাল স্ক্রিনে সরকারের উন্নয়ন প্রচার করা হবে।
তিনি বলেন, ‘আজকের একনেক বৈঠকে ৫ প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৫৯ কোটি ১২ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৭২৬ কোটি ৭২ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ৩২ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
অনুমোদিত অন্য প্রকল্পগুলো হলো : ভূমি প্রশাসন ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে ১৩৯ কোটি ৯৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘ভূমি ভবন কমপ্লেক্স নির্মাণ’, ১২৭ কোটি ১৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ময়মনসিংহ কারাগারের কয়েদির ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি ও বসবাসের পরিবেশ উন্নত করার জন্য ‘ময়মনসিংহ কেন্দ্রীয় কারাগার সম্প্রসারণ ও আধুনিকীকরণ’ প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে।
২৩১ কোটি ৬৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘অংশীদারিত্বমুলুক পল্লী উন্নয়ন প্রকল্প (পিআরডিপি)- ৩য় পর্যায়’ প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। প্রকল্পটির মাধ্যমে গ্রাম, ইউনিয়ন ও উপজেলার মধ্যে ভার্টিক্যাল লিংকেজ এবং গ্রহণকারী ও সেবাপ্রদানকারীদের মধ্যে হরিজেন্টাল লিংকেজ স্থাপন করা হবে, স্থানীয় সম্পদ ব্যবহার ও স্থানীয় উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়নের ক্ষেত্রে ইউনিয়ন পরিষদের দক্ষতা ও কার্যকারিতা বৃদ্ধি পাবে। সেই সঙ্গে আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো ও জীবনমানের উন্নয়ন হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে ৬৪ জেলার ২০০ উপজেলার ৬০০ ইউনিয়নে।
চট্টগ্রাম জেলায় কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে দারিদ্র বিমোচন ও আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন করতে ‘কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ভূ-উপরিস্থ পানি ব্যবহারের জন্য রাবার ড্যাম নির্মাণ’ প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৭২ কোটি টাকা।
৮৮ কোটি ৩৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে নারী উদ্যোক্তাদের বিকাশ সাধন (৩য় পর্যায়)’ প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে ৮২ হাজার নারীর উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নে সহায়তা করা হবে। দেশের ৭টি বিভাগের ২৬ জেলার ৩৩ উপজেলায় ৩০টি কেন্দ্রের মাধ্যমে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে।